কুষ্টিয়ার অনিক মাহমুদ । জন্মগতভাবেই নিজের দুই পা অস্বাভাবিক চিকন আর ছোট। অচল এ পায়ের কারণে ছোট থেকেই তার আশ্রয় এই হুইল চেয়ার।তবে অচল পা নিয়ে অনেক যা করেছেন সক্ষম অনেকেই তা পারেনি । ২০১৭ সালে প্রথম জানতে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইন করে মুক্ত পেশা বা ফ্রিল্যান্সিং এর কথা । সে বছরই কাজ শুরু, ফ্রীল্যান্স মার্কেটপ্লেস upwork.com এ। ২০১৮ সালে ২৫ ডলারে প্রথম কাজ পান অনিক। তার দীর্ঘ সংগ্রামে গল্প জানতে গেলে অনিক বলেন ,“ 2020 সালের দিক থেকে আমার আস্তে আস্তে কাজ আরো প্রচুর আকারে আসা শুরু করে , ফাইবার এবং আপওয়ার্ক দুইটা সাইট থেকে আমার প্রচুর পরিমাণ কাজও শুরু করে, তো আমার তখন মনে হয় যে আসলে আমার একার পক্ষে কাজ করা সম্ভব নামের একজন দরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে প্রফেসর আইটি জোন লিমিটেড নামে আমি একটা প্রতিষ্ঠান দাড় করাই । অনিক মূলত টি-শার্ট ডিজাইন করেন, ইচ্ছে ছিল কোন একদিন তার নকশা করা টি-শার্ট পড়বে ইউরোপের মানুষ । বর্তমানে অনিকের প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ৫০ জন তরুণ। অনিকের বাবা অধ্যাপক মোজাহার আলী করোনায় মারা যান । দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট অনিকের কঠিন সংগ্রামের কথা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা । তিনি বলেন, “ আমি আল্লাহ্ - র কাছে শুধু চেয়েছিলাম , তুমি আমার সন্তানটা যেনো নিজে নিজের মতো দাড়াতে পারে “। অনিকের মতো অদম্যদের সাফল্যের খবর পৌঁছে গেছে আইসিটি ডিবিসনে । প্রতিমন্ত্রী জানান দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও চাকরিদাতা এ পরিণত করতে চায় সরকার। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন , ”দেখুন এটা তো আমার জন্য খুবই আনন্দের একটা ব্যাপার কারন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব সেটা হচ্ছে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আমাদের লক্ষ্য লক্ষ্য কোটি কোটি তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা আমাদের টার্গেট ৪১ সালের মধ্যে এক কোটি ছাত্রছাত্রীকে তাদের ফ্রিল্যান্সার বানানো উদ্যোক্তা বানানো”। শুধু হুইল চেয়ারে বসে ডলার আয় করা নয় বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড রাইজিং ওয়ার্ডসহ তার ঘরে ঝুলছে দেশ-বিদেশের নানা সম্মাননা স্বীকৃতি। সোর্স : ৭১ টিভি